দৈনিক সংগ্রাম

১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে যারা স্বীকার করেনি, মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল, যারা বাঙালি জেনোসাইড সংঘটনে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর প্রধানতম দোসর হিসেবে কাজ করেছে, যারা বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত ছিল, সেই ‘জামায়াতে ইসলামি’ ও এর ছাত্র সংগঠন ‘ইসলামি ছাত্রসংঘ (বর্তমান নাম ইসলামি ছাত্রশিবির)’-এর মুখপাত্র হলো ‘দৈনিক সংগ্রাম’।

‘জামায়াতে ইসলামি’র মুখপাত্র ‘দৈনিক সংগ্রাম’ এদেশের জনগণ ও বিশ্বজনমতকে বিভ্রান্ত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয় মাস জুড়ে অবাধ মিথ্যাচার ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ঘৃণ্য অপপ্রচারে লিপ্ত ছিল। মৌলবাদী ও প্রতিক্রিয়াশীল এই  দৈনিকটি পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ও তাদের দোসর জামায়াতে ইসলামি, ইসলামি ছাত্রসংঘ (বর্তমান ইসলামি ছাত্রশিবির), রাজাকার, আলবদর, আলশামসের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ সকল প্রকার মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডকে সমর্থন করে এসব অপকর্মকে বৈধতা দেয়ার জন্য সাফাই গেয়ে সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয় ও প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গোলাম আযম, নিজামী ও মুজাহিদসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের সংঘটিত ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অনেক প্রামাণ্য তথ্যাদি দৈনিক সংগ্রামে পরিবেশিত সংবাদ, প্রতিবেদন, কলাম ও সম্পাদকীয়তে পাওয়া যায়।

‘মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ’ ‘জেনোসাইডের বিচার, জেনোসাইড রোধ ও জনসচেতনতার’ জন্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে ‘দৈনিক সংগ্রামের’ ১৯৭০ ও ১৯৭১ সালে প্রকাশিত সংখ্যাগুলো ডিজিটাইজড করেছে।