বসন্ত ভূষণ ভূষিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় – মুহম্মদ ইফতেখারুল ইসলাম খান
বসন্ত ভূষণ ভূষিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়
মুহম্মদ ইফতেখারুল ইসলাম খান
২০০৯
আমরা যে দেশে বসবাস করি এটি পৃথিবীর সুন্দরতম দেশ। বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় কোন দেশ নেই যে দেশ সম্পূর্ণটা সমতল এবং সম্পূর্ণটা কর্ষণযোগ্য। এদেশের ভূমি বৈচিত্র্যহীন সমতল, তবে ঋতুর আবর্তন এদেশকে বিচিত্রতা দিয়েছে। করেছে সীমাহীন সুন্দর। এ দেশ আমাদের রাষ্ট্র সংস্থাপনের ইতিহাসের বিশাল এক গৌরব গাঁথা। এটিও এ গ্রন্থের প্রতিপাদ্য। আমাদেরকে এ গৌরবের সৌরভ বহমান রাখতে হবে। এ গৌরব গাঁথাই হতে পারে আমাদের সকল কর্মযজ্ঞের প্রেরণা। আমাদের দেশের সৌন্দর্য্যে আমরা যেমন মোহিত, আমরা আমাদের অতীত গৌরবেও তেমনই মোহিত। বাংলাদেশ সুমিষ্ট জলে ভরপুর। বাংলাদেশ তৃপ্তিকর ফল ও সুদর্শন পুষ্পে পরিপূর্ণ। সমগ্রদেশ নিবিড় শ্যামল শস্যে আবৃত। এ দেশে সূর্য দিবসে রজত ধারার বিচ্ছুরণ ঘটায় আর রাতে চাঁদ হাসে। এ দেশ ধানের দেশ, গানের দেশ, প্রাণের দেশ। বিহগ ডাকে এ দেশবাসী ঘুমিয়ে পরে, বিহগ ডাকে জাগে। চৌদ্দশ আট বর্ষ আগে ৬০০ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট শশাংকের নেতৃত্বে আমরা সমৃদ্ধ রাষ্ট্র সংস্থাপন করেছিলাম। নেতৃত্বের দৌর্বল্যের কারণে শত সহস্র বর্ষ আমরা পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ ছিলাম। পরাধীনতার নিগড়াবদ্ধ অবস্থায় আমরা সীমাহীনভাবে শোষিত ও লাঞ্চিত হয়েছিলাম। বিংশ শতাব্দীর সত্তর দশকে এক অমিত তেজী অদম্য সিংহ পুরুষের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যূদয় ঘটাই। এ জনসম্মোহনি নেতার সিংহনাদে অরিশক্তি শংকিত ও কম্পিত হয়ে সংহারে ব্যাপৃত হয় এবং পরিশেষে আত্মসমর্পণ করে। এ লেখা এ সম্পর্কিত ঘটনাদি বিবৃত করার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস।