মুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর নোয়াখালী
আলহাজ্ব মোঃ ফখরুল ইসলাম
প্রকাশক : আলহাজ্ব আঞ্জুমান আরা বেগম
১৯৭১ সালে বৃহত্তর নোয়াখালীতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর প্রধান ঘাঁটি ছিল মাইজদী প্রাইমারী ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (পিটিআই)। মাইজদী পিটিআই বৃহত্তর নোয়াখালীর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অতীব গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত কারণ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ২৬ মার্চ থেকে এই পিটিআই এর মাঠ থেকেই পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এ জেলার ছাত্র-জনতা, আবালবৃদ্ধ, বণিতা, সর্বস্তরের মানুষ প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ গ্রহনের জন্য প্রশিক্ষণ শুরু করেন। ২৪ মার্চ ‘৭১ থেকে ৬ ডিসেম্বর ‘৭১ পর্যন্ত (২২৬ দিন) হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস্ বাহিনী কত শত নর-নারীকে এখানে ধরে এনে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ করেছে সেই হিসাব কোন দিন পাওয়া যাবে না। আবার ৭ ডিসেম্বর ‘৭১ বীর মুক্তিযোদ্ধারা পিটিআই দখল করে নোয়াখালীকে হানাদার মুক্ত করে এখানেই বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছেন। বৃহত্তর নোয়াখালীর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গুরুতৃপর্ণ এই স্থানকে আমাদের বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরার উদ্দেশে সরকার সবুজ-শ্যামল নানান ছায়াঘেরা পিটিআই মাঠের পূর্বপ্রান্তে প্রধান সড়ক সংলগ্ন দর্শনীয় স্থানে “নোয়াখালীর বিজয় ভাস্কর্য ও মঞ্চ” স্থাপন করেন। ভাস্কর্যে ফুটে এসেছে যুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী অস্ত্র হাতে নারী-পুরুষের বীরত্বের অবিস্মরণীয় জীবন গাঁথার আকর্ষণীয় এক দৃশ্য। আর এই কারনে লেখক তারই গ্রন্থে মুক্তিযুদ্ধের এই ভাস্কর্যকেই গ্রন্থের প্রচ্ছদ হিসেবে নির্বাচন করেছেন। (প্রচ্ছদ পরিচিতি)