সৈনিক জীবন – গৌরবের একাত্তর রক্তাক্ত পঁচাত্তর – মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম
সৈনিক জীবন – গৌরবের একাত্তর রক্তাক্ত পঁচাত্তর
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম
২০২০
আমি লেখক হিসেবে তেমন পরিচিত নই, তবে ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া এবং সেনাবাহিনীতে চাকরি করার সুবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ভেতর থেকে দেখার সুযােগ হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রােতভাবে জড়িত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা এক গণবাহিনী। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনাপঁচিশেক অফিসার একাত্তরের মার্চে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে জনযুদ্ধে শামিল হন। আমি তাদের। একজন হতে পেরে গর্বিত।
প্রায় ৪৪ বছর আগে ইউনিফর্ম খুলে এসেছি, কিন্তু এ বাহিনীর ভালাে-মন্দ আজও আমাকে আলােড়িত করে। বইয়ে বর্ণিত ঘটনাবলি অনেক বছর আগে ঘটেছে, কিন্তু এসব ঘটনা থেকে বেশ কিছু শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। বলে আমি মনে করি।। | এসব ঘটনার পাত্রপাত্রীরা কেউ কেউ এখনাে জীবিত। তাঁদের অনেকের জন্য কিছুটা বিব্রতকর হতে পারে, এই বিবেচনায় লেখার আগ্রহবােধ করিনি।
২০১৮ সালে সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে হঠাৎ করে দেখা হলাে প্রথম আলাে সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে। তার অভিজ্ঞতার ভান্ডার খুবই সমৃদ্ধ। তিনি আমাকে অনুরােধ করলেন সামরিক জীবনের অভিজ্ঞতাগুলাে লিখে। ফেলার জন্য। তাঁর সঙ্গে ছাত্রজীবনে একই টিমে ক্রিকেট খেলেছি, তিনি আমার প্রিয় মানুষ। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে দ্রুত লিখে ফেললাম আট বছরের সেনাজীবনের অভিজ্ঞতা। এতে রয়েছে ইতিহাসের কিছু অজানা অধ্যায়ও। প্রথমা প্রকাশনের অরুণ বসু ও জাফর আহমদ রাশেদকে ধন্যবাদ। তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণেই বইটি প্রকাশ করা সম্ভব হলাে। সহৃদয় পাঠক ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন—এই প্রত্যাশা করি। (লেখকের কথা)