মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ কিছু বিভ্রান্তির জবাব
আরিফ রহমান
২০১৮
নিচের প্রশ্নগুলাের দিকে একটু লক্ষ্য করুনঃ
১। অখণ্ড পাকিস্তান কি একটা শক্তিশালী রাষ্ট্র হতে পারতাে না?
২। ৭ মার্চ কেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘােষণা করলেন না?
৩। বঙ্গবন্ধু কেন পালিয়ে গিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেন না?
৪। বঙ্গবন্ধু কি আদৌ স্বাধীনতার ঘােষণা দিয়েছিলেন? পাকিস্তানি দলিল, মার্কিন দলিল এবং বিদেশি মিডিয়া কি বলে?
৫। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূলনায়ক আসলে কে ছিলেন?
৬। আওয়ামী লীগের কি স্বাধীনতা নিয়ে আদৌ কোন প্রস্তুতি ছিলাে?
৭। জেনারেল ওসমানী কেন আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন না?
৮। পাকবাহিনী কি শুধুই ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলাে?
৯। বুদ্ধিজীবীদের কেন হত্যা করা হয়েছিলাে?
১০। বুদ্ধিজীবীরা কি নির্বোধের মতাে মারা গিয়েছিলেন?
১১। স্বাধীন দেশে জহির রায়হানকে কারা হত্যা করে?
১২। ১৬ ডিসেম্বর কি বাংলাদেশের জন্মদিন?
১৩। বঙ্গবন্ধু নাকি যুদ্ধাপরাধীদের সাধারণ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন?
১৪। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক হলে এটা বিদেশে না হয়ে দেশে হচ্ছে কেন?
১৫। এতাে কম বয়সে কি যুদ্ধাপরাধ করা যায়?
১৬। এতাে বছর পর কেন নিরীহ বৃদ্ধ মানুষকে ধরে ধরে বিচার করা হচ্ছে?
১৭। এটা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হলে জাতিসংঘ কেন এই বিচারে আসলাে না?
আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন, আপনার জন্ম আর বেড়ে ওঠা যদি হয়ে থাকে ১৯৭৫ সালের পরে অর্থাৎ আপনি যদি হয়ে থাকেন মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় প্রজন্ম, তাহলে ভালো সম্ভাবনা আছে এমন কিছু প্রশ্ন আপনার মাথার ভেতরে থাকবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণীতভাবে আমাদের মাথার ভেতরে বিভ্রান্তি ঢোকানো হয়েছে পঁচাত্তরের পরবর্তী সময় থেকে। সে হিসেবে আমরা নিজেদের ভাগ্যবান বলতে পারি। ১৯৯২ সালে শহিদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে জেগে ওঠা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলনের সময় থেকে আবার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা নতুন করে শুরু হতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে গড়ে ওঠে শাহবাগ আন্দোলন। এই আন্দোলন প্রমাণ করে স্বাধীনতার মৌলিক প্রশ্নগুলো নিয়ে এ প্রজন্ম সচেতন। এ আন্দোলন দেশের তরুণ প্রজন্মের বুকে দেশের জন্য নতুন করে ভালোবাসার জন্ম দেয়। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পড়ে ঠিক এই সময়টাতে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যতোটা আগ্রহী এমন আগ্রহ আশেপাশের সময়ে আর কখনোই দেখা যায় নাই।
নিচের প্রশ্নগুলাের দিকে একটু লক্ষ্য করুন-
১। অখণ্ড পাকিস্তান কি একটা শক্তিশালী রাষ্ট্র হতে পারতাে না?
২। ৭ মার্চ কেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘােষণা করলেন না?
৩। বঙ্গবন্ধু কেন পালিয়ে গিয়ে যুদ্ধে
অংশগ্রহণ করলেন না?
৪। বঙ্গবন্ধু কি আদৌ স্বাধীনতার ঘােষণা দিয়েছিলেন?
পাকিস্তানি দলিল, মার্কিন দলিল এবং বিদেশি মিডিয়া কি বলে?
৫। বাংলাদেশের
স্বাধীনতার মূলনায়ক আসলে কে ছিলেন?
৬। আওয়ামী লীগের কি স্বাধীনতা
নিয়ে আদৌ কোন প্রস্তুতি ছিলাে?
৭। জেনারেল ওসমানী কেন আত্মসমর্পণের
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন না?
৮। পাকবাহিনী কি শুধুই ভারতের কাছে
আত্মসমর্পণ করেছিলাে?
৯। বুদ্ধিজীবীদের কেন হত্যা করা হয়েছিলাে?
১০। বুদ্ধিজীবীরা কি নির্বোধের মতাে মারা গিয়েছিলেন?
১১। স্বাধীন দেশে জহির
রায়হানকে কারা হত্যা করে?
১২। ১৬ ডিসেম্বর কি বাংলাদেশের জন্মদিন?
১৩। বঙ্গবন্ধু নাকি যুদ্ধাপরাধীদের সাধারণ ক্ষমা করে
দিয়েছিলেন?
১৪। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক
হলে এটা বিদেশে না হয়ে দেশে হচ্ছে কেন?
১৫। এতাে কম বয়সে কি যুদ্ধাপরাধ করা যায়?
১৬। এতাে বছর পর কেন
নিরীহ বৃদ্ধ মানুষকে ধরে ধরে বিচার করা হচ্ছে? ১৭। এটা
আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনাল হলে জাতিসংঘ কেন এই বিচারে আসলাে না?
আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন, আপনার জন্ম
আর বেড়ে ওঠা যদি হয়ে থাকে ১৯৭৫ সালের পরে অর্থাৎ
আপনি যদি হয়ে থাকেন মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী দ্বিতীয় অথবা
তৃতীয় প্রজন্ম, তাহলে ভালাে
সম্ভাবনা আছে উপরের প্রশ্নগুলাের মধ্যে সব না হলেও কয়েকটা
আপনার মাথার ভেতরে আছে।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে
উদ্দেশ্য প্রণীতভাব আমাদের মাথার ভেতরে বিভ্রান্তি ঢােকানাে
হয়েছে পঁচাত্তরের পরবর্তী সময় থেকে।