জানা-অজানা বাংলা
সাযযাদ কাদির
বর্তমান যুগ প্রচার, প্রকাশ ও যোগাযোগের। আর এতে বর্তমানেরই প্রাধান্য । ফলে আমাদের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা ভাবনা থাকলেও অতীতের দিকে ফিরে তাকানো হয় না সহজে । অথচ অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা পারি-বর্তমানের কর্তব্য পালন করতে, সেই সঙ্গে পারি ভবিষ্যতের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে। কিন্ত বর্তমানের চাহিদা মেটাতে গিয়ে অতীতকে ভুলে যেতে বসেছি আমরা । আবার বর্তমানের প্রগতিতে অতিযুগ্ধ হয়ে অতীতকে ভাবছি পশ্চাৎপদ। তাই অবহেলা করছি তাকে। ‘অতীতমুখিনতা’কে দেখছি পলায়নপর মনোভাব হিসেবে, ভাবছি একটা গুরুতর দোষ হিসেবে । অথচ আমাদের অতীত মোটেও হেলাফেলার নয়, গর্ব ও গৌরব করার মতো অনেক কিছু রয়েছে বাংলা ও বাঙালির ৷ ইতিহাস ঘাটলে পাই সে সব কীর্তিধন্য বাঙালির পরিচয়। এ বইয়ে বিশেষ করে স্থান পেয়েছে বহু বিস্মৃত বা বিস্মৃতপ্রায়, অজ্ঞাত বা অল্প জ্ঞাত কীর্তি ও কৃতিত্বের তথ্য – যা হয়তো বিস্মিত ও চমৎকৃত করবে আমাদের। ধারা আজ আমাদের মাঝে নেই, নিত্য ধেয়ে চলা সময়ের বুকে যাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করি না, তারা ও তাদের ভুলে যাওয়াই যেন বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের। এ প্রবণতা আমাদের দেশ ও জাতির জন্য নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। বিশেষ করে ছোটদের জন্য লেখা হলেও আশা করি এ বইয়ে উল্লিখিত বিভিন্ন তথ্য ও বিবরণ বৃত্তান্ত সকল বয়সী পাঠকের কৌতুহলকে উসকে দেবে, তাঁরা হবেন আরও পড়াশোনায় উৎসাহী। এভাবে দেশের বরেণ্য মানুষ ও তদের কীর্তি সম্পর্কে জানার আগ্রহ সৃষ্টি হলে সার্থক হবে এ সামান্য প্রয়াস।
– সাযযাদ কাদির
বর্তমান যুগ প্রচার, প্রকাশ ও যােগাযােগের । আর এতে বর্তমানেরই প্রাধান্য। ফলে
আমাদের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা ভাবনা থাকলেও অতীতের দিকে ফিরে তাকানাে
হয় না সহজে। অথচ অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা পারি বর্তমানের
কর্তব্য পালন করতে, সেই সঙ্গে পারি ভবিষ্যতের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে। কিন্তু
বর্তমানের চাহিদা মেটাতে গিয়ে অতীতকে ভুলে যেতে বসেছি আমরা। আবার
বর্তমানের প্রগতিতে অতিমুগ্ধ হয়ে অতীতকে ভাবছি পশ্চাৎপদ। তাই অবহেলা করছি
তাকে। ‘অতীতমুখিনতা’কে দেখছি পলায়নপর মনােভাব হিসেবে, ভাবছি একটা
গুরুতর দোষ হিসেবে। অথচ আমাদের অতীত মােটেও হেলাফেলার নয়, গর্ব ও
গৌরব করার মতাে অনেক কিছু রয়েছে বাংলা ও বাঙালির। ইতিহাস ঘাঁটলে পাই সে
সব কীর্তিধন্য বাঙালির পরিচয়। এ বইয়ে বিশেষ করে স্থান পেয়েছে বহু বিস্মৃত বা
বিস্মৃতপ্রায়, অজ্ঞাত বা অল্প জ্ঞাত কীর্তি ও কৃতিত্বের তথ্য – যা হয়তাে বিস্মিত ও
চমৎকৃত করবে আমাদের।
যারা আজ আমাদের মাঝে নেই, নিত্য ধেয়ে চলা সময়ের বুকে যাদের উপস্থিতি
লক্ষ্য করি না, তারা ও তাদের ভুলে যাওয়াই যেন বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের।
এ প্রবণতা আমাদের দেশ ও জাতির জন্য নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। বিশেষ করে
ছােটদের জন্য লেখা হলেও আশা করি এ বইয়ে উল্লিখিত বিভিন্ন তথ্য ও বিবরণ-বৃত্তান্ত
সকল বয়সী পাঠকের কৌতূহলকে উসকে দেবে, তারা হবেন আরও পড়াশােনায়
উৎসাহী । এভাবে দেশের বরেণ্য মানুষ ও তাদের কীর্তি সম্পর্কে জানার আগ্রহ সৃষ্টি
হলে সার্থক হবে এ সামান্য প্রয়াস ।
নামান