বই-দলিলপত্র-প্রবন্ধ
Trending

বঙ্গবন্ধুর চিঠি

বই পড়তে 'মুক্তিযুদ্ধ ই-লাইব্রেরি' এ্যাপটি ব্যবহার করুন।

১. ১৯৬৬ সালে ঢাকা কারাগারে বন্দী অবস্থায় তাজউদ্দিন আহমদকে লেখা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিঠি।

(মূল চিঠি পড়তে এখানে ক্লিক করুন)

.
স্নেহের তাজউদ্দিন,

আমার স্নেহ ও ভালবাসা নিও। কেমন আছ? খবর জানি না। আমাকে খবর দিও। চিন্তা করিও না। সকলকে ছালাম দিও। শরীরটা বেশী ভাল না তবে কেটে যাচ্ছে। তোমার শরীরের প্রতি যত্ন নিও।

ইতি,
তোমার মুজিব ভাই
.
ঢাকা কারাগার
১৯ আগস্ট, ১৯৬৬

২. ১৯৫৮ সালে ঢাকা কারাগারে বন্দী অবস্থায় বাবা শেখ লুৎফর রহমানকে লেখা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিঠি।

(মূল চিঠি পড়তে এখানে ক্লিক করুন)

.
আব্বা,

আমার ভক্তিপূর্ণ ছালাম গ্রহণ করবেন ও মাকে দিবেন। মা এবার খুব কষ্ট পেয়েছিল, কারণ এবার তাঁর সামনেই আমাকে গ্রেপ্তার করেছিল। দোয়া করবেন মিথ্যা মামলায় আমার কিছুই করতে পারবে না। আমাকে ডাকাতি মামলার আসামীও একবার করেছিল। আল্লা আছে, সত্যের জয় হবেই। আপনি জানেন বাসায় কিছুই নাই। দয়া করে ছেলেমেয়েদের দিকে খেয়াল রাখবেন। বাড়ি যেতে বলে দিতাম। কিন্তু ওদের লেখাপড়া নষ্ট হয়ে যাবে। আমাকে আবার রাজবন্দী করেছে, দরকার ছিল না। কারণ রাজনীতি আর নাই, এবং রাজনীতি আর করবো না। সরকার অনুমতি দিলেও আর করবো না।

যে দেশের মানুষ বিশ্বাস করতে পারে যে আমি ঘুষ খেতে পারি সে দেশে কোনো কাজই করা উচিত না। এ দেশে ত্যাগ ও সাধনার কোন দামই নাই। যদি কোন দিন জেল হতে বের হতে পারি তবে কোন কিছু একটা করে ছেলেমেয়ে ও আপনাদের নিয়ে ভালভাবে সংসার করব। নিজেও কষ্ট করেছি, আপনাদেরও দিয়েছি। বাড়ির সকলকে আমার ছালাম দিবেন। দোয়া করতে বলবেন। আপনার ও মায়ের শরীরের প্রতি যত্ম নিবেন। চিন্তা করে মন খারাপ করবেন না। মাকে কাঁদতে নিষেধ করবেন। আমি ভাল আছি।

আপনার স্নেহের,
মুজিব

গোপালগঞ্জের বাসাটা ভাড়া দিয়া দেবেন। বাসার আর দরকার হবে না। মুজিব।
.
ঢাকা কারাগার
১২ নভেম্বর, ১৯৫৮

৩. ১৯৬৯ সালে জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনাকে লেখা বঙ্গবন্ধুর চিঠি।

(মূল চিঠি পড়তে এখানে ক্লিক করুন)

.

হাছু মনি,

আমার স্নেহ ও ভালবাসা নিও। ওয়াজেদের চিঠি পেয়েছিলাম, উত্তরও দিয়েছি, বোধ হয় পেয়ে থাকবে। জেল হতে বের হয়ে তোমাকে ভাল করে দেখতেও পারি নাই। শুধু তোমার শরীরের দিকে চেয়ে তোমাকে যেতে দিয়েছি। শরীরের প্রতি যত্ন নিও। ওয়াজেদের শরীর কেমন। আমরা সকলেই ভাল আছি। চিন্তা করে শরীর নষ্ট করিও না। বোধ হয় শুনেছ মানিক ভাই পিন্ডিতে হঠাৎ মারা গিয়াছেন। বুঝতেই পার আমার অবস্থা। পোফেসার হাই সাহেবও মারা গিয়াছেন। বাংলাদেশের দুইজন কৃতী সন্তান আমরা হারালাম। চিন্তা করিও না। সুইডেন খুব সুন্দর দেশ। তোমাদের খুব ভাল লাগবে। চিঠি দিও।

তোমার,
আব্বা
.
ঢাকা
১৩ জুন, ১৯৬৯

৪.

মন্তব্যসমূহ
বই পড়তে 'মুক্তিযুদ্ধ ই-লাইব্রেরি' এ্যাপটি ব্যবহার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button