মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের ধরন পর্যালোচনা – সমীক্ষণ এলাকা এক নাম্বার সেক্টরের অন্তর্গত ঋষিমুখ সাব-সেক্টর – ড. বিবি হাফছা
মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের ধরন পর্যালোচনা – সমীক্ষণ এলাকা এক নাম্বার সেক্টরের অন্তর্গত ঋষিমুখ সাব-সেক্টর
ড. বিবি হাফছা (সহযোগী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়)
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভূগোল ও পরিবেশ সমীক্ষণ ৩৯:২০২০ (পৃ. ১-১৫)
ব্রাউজারে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসনের অবসান ঘটে ১৬ ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে, যার মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বাঙালি জাতির ইতিহাস অনেকটা বিদ্রোহ, বিপ্লব এবং যুদ্ধের ইতিহাস। যুদ্ধের উপর ভিত্তি করে লেখা গবেষণাগুলো প্রায় এক পাক্ষিক। আমাদের বীরত্বের, পাঞ্জাবীদের নাজেহাল করার, সফল অনেক আক্রমণের কাহিনী ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের সর্বত্র অথচ আমাদের উপর অত্যাচারের কাহিনী যত প্রাধান্য পাচ্ছে আমাদের বীরত্বের কাহিনী ততটুকু প্রাধান্য পাচ্ছে না। এই গবেষণাটি মুক্তিযুদ্ধের কৌশলগত দিক আলোচনা করার প্রয়াস মাত্র। এই গবেষণায় কিভাবে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন, তার একটি চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। এ গবেষণাটি মূলত দ্বিতীয় পর্যায়ে তথ্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের অবস্থান নির্ণয় করার জন্য এই গবেষণায় জিও-ডাটা ব্যবহার করা হয়েছে যা গুগোল-আর্থ এবং মৌজা ম্যাপের সাহায্যে করা হয়েছে। জিআইএস প্রযুক্তির মাধ্যমে এই গবেষণার মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের অবস্থান মানচিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এবং মাইক্রোসফট এক্সেল এর মাধ্যমে তথ্য বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপন করা হয়েছে। এই গবেষণার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এবং মুক্তিযোদ্ধারা কিভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন, বীরত্বের কাহিনী সঠিকভাবে জানতে পারবে। মুক্তিযুদ্ধের সকল বিষয়ে আলোচনা না করা আর ইতিহাস বিকৃত করা একই কথা।