The Blood Telegram: Nixon, Kissinger, and a Forgotten Genocide
Gary J. Bass
বলা হয়েছে- সেই যুদ্ধই এশিয়া মহাদেশে একটি জাতির অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে আজকের ভূ-রাজনীতিতে গুরুত্ববহ অধ্যায়ের সূত্রপাত ঘটিয়েছে।
একাত্তরে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্থার কেন্ট ব্লাড কর্তৃক ওয়াশিংটনে প্রেরিত ‘ব্লাড টেলিগ্রাম’-গুলো স্নায়ু যুদ্ধকালীন হোয়াইট হাউজের অভ্যন্তরীণ কর্মপ্রণালীকে তুলে ধরে।
বইটিতে লেখক দেখিয়েছেন- কীভাবে পাকিস্তানের সামরিকজান্তা ইয়াহিয়া খান ঐতিহাসিকভাবে অনুষ্ঠিত একটি মুক্ত নির্বাচনের ফলাফলকে ভূলুণ্ঠিত করেছেন।
তাতে লাখো মানুষকে পাকিস্তানী সেনা বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়।
এক কোটি মানুষের প্রতিবেশী ভারতে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ বিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে ছিল এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়।
নিক্সন ও কিসিঞ্জার সেই ‘ব্লাড টেলিগ্রাম’ উপেক্ষা করে পাকিস্তানের সামরিকজান্তাকেই সমর্থন জোগান।
কেবলমাত্র স্নায়ুযুদ্ধের রাজনৈতিক হিসাব মিলাতে ভারত ও তার নেত্রী ইন্দিরা গান্ধিকে ব্যক্তিগত অপছন্দ থেকে নিক্সন ও কিসিঞ্জার পাকিস্তান সরকারকে সমর্থনসহ একটি ভয়াবহ যুদ্ধের পাণে ভারতকে ঠেলে দেন।
এছাড়াও নিজের দেশের প্রতিবাদী এই কূটনীতিককে নিস্তব্ধ করার পাশাপাশি গোপনে চীনের সৈন্য বাহিনী ভারত সীমান্তে মোতায়েনে উৎসাহ প্রদান এবং অবৈধভাবে পাকিস্তানকে অস্ত্র দেন।
পরিণতিতে ‘ওয়াটার গেট’ কেলেঙ্কারির মতো ঘটনাও নজর এড়িয়ে যায়।
লেখক গ্যারি ব্যাস তার বইয়ে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কর্তৃক হোয়াইট হাউজের টেপ শুনে, ডি-ক্লাসিফাইড নথি-পত্র দেখে, হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তাদের সাক্ষাতকার নিয়ে এবং ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এই নাটকীয় ও আলো-আধারি চিত্রটি পুরোপুরি চিত্রায়ণ করেছেন।
কীভাবে সেই নাটক যুদ্ধের রূপ পরিগ্রহ করেছে তার চিত্রায়ণে সাংবাদিক, কূটনীতিক, রিফ্যুজি ক্যাম্পের গেরিলাযোদ্ধা এমনকি ওভাল অফিসের গোয়েন্দাদের কথা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়াও বইটিতে লেখক দেখিয়েছেন এশিয়ায় অনাগত দশকের যাত্রায় নিক্সন-কিসিঞ্জারের গোপন আঁতাত কী করে ইসলামাবাদের সামরিকজান্তাকে সহায়তার মাধ্যমে বসনিয়ার যুদ্ধের চাইতেও একটি নারকীয় গণহত্যার জন্ম দিয়েছে। এটি রাজনীতি, ব্যক্তিত্ব, সামরিক সংঘাত এবং স্নায়ু যুদ্ধের প্রান্তসীমায় উপনীত প্রেক্ষাপটকে চার দশক পর বিমূর্ত করেছে।

.